দ্বিতীয় পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
তৃতীয় পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
চতুর্থ পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
পঞ্চম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
ষষ্ঠ পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
সপ্তম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
অষ্টম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
নবম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
দশম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
এগারো পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
বারো পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
এসআই জলিল সাহেবের সামনে বসে আছেন মাওলানা মফিজুর রহমান আনসারী, তার বোন মোমেনা ও তাহের নূরী। বাদল একাই এসেছে। চাইলে কোনো বন্ধু অথবা নিজের ভাইকে আনতে পারতো। কিন্তু বাদলের মনে হয়েছে নিজেদের নোংরা নিজেদেরই পরিষ্কার করা উচিত, অন্য কাউকে অহেতুক টানাটানির কী দরকার!
জলিল সাহেব মফিজ ও মোমেনার ওপর মনে মনে বিরক্ত। নারী নির্যাতন খুবই গর্হিত একটা কাজ। কিন্তু এক শ্রেণির ধূর্ত লোক নারী অধিকার আইনের সুবিধা নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করছে। অনেক সময় পুরুষকেই মানসিকভাবে নির্যাতন করছে। মফিজ ও মোমেনা যে তাদের দলে এটা বুঝতে আর বাকি নেই জলিল সাহেবের। কারণ, বিয়ের সতেরো বছর পর মাত্র একটা চড় দেওয়ার জন্য কেউ থানা-পুলিশ করে না। মনে মনে বাদলের জন্য মায়া হচ্ছে তার।
জলিল সাহেব একটু কেশে গলা পরিষ্কার করে বললেন, ‘আপনাদেরকে বলছিলাম, একে অপরের কাছ থেকে কী কী প্রত্যাশা করেন লিখে আনতে। আনছেন?’
মফিজ সাথে সাথে একটা কাগজ বের করে দিলেন। জলিল সাহেব সেটা নীরবে পড়া শুরু করলেন। ধীরে ধীরে তার ভ্রু-জোড়া কুঁচকে যেতে লাগল। যতসব আজেবাজে কথা লিখে ভর্তি করে রেখেছে। কখনো গালি দিতে পারবে না, গায়ে হাত তুলতে পারবে না, মাসে দুইবার সবাই মিলে বেড়াতে যেতে হবে, মোমেনার হাতে টাকা রাখতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
কাগজটা পড়া শেষ করে তিনি বাদলের দিকে তাকালেন, ‘বাদল সাহেব আপনি কিছু আনছেন?’
বাদল এতক্ষণ যেন অন্য জগতে ছিল। সে আসলে কোহিনূরের কথা, কোহিনূরের সমস্যাটা নিয়ে ভাবছিল। জলিল সাহেবের ডাকে সে চমকে উঠল। তারপর মৃদু কণ্ঠে বলল, ‘আমি কিছু লিখে আনি নাই।’
জলিল সাহেব আড়চোখে দেখতে পেলেন মোমেনা ও তার ভাইয়ের মুখে বিজয়ের হাসি। যেন তারা কাগজে কিছু কথা লিখে এনে বাদলের সম্পত্তি সব নিজের নামে লিখে নিয়েছে আরকি। জলিল সাহেব বাদলকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আনেন নাই ক্যান? আমার বলা কথাটা কি আপনার গুরুত্বপূর্ণ লাগে নাই?’
বাদল মাথা নিচু করে রেখেছিল। মাথা তুলে জলিল সাহেবের চোখের দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আমি মোমেনারে তালাক দিতে চাই। ওর কাছে আর কিছুই প্রত্যাশা করি না আমি।’
কথাটা সবার কানে বিস্ফোরণের মতো শোনালো। মোমেনা প্রথমে বুঝে উঠতে পারেনি বাদল কী বলেছে। পরক্ষণেই সে নাকি সুরে কান্না শুরু করল। জলিল সাহেব ধমকে উঠলেন, ‘এ্যাই চুপ করেন আপনে। এইটা থানা, তামশা করার জায়গা না। আর বাদল মিঞা আপনার কি মাথামুতা খারাপ হইসে? আপনার চার চাইট্টা পোলার মায়েরে এই সময় তালাক দেবেন? বড় মাইয়াটারই তো বিয়ার বয়স হইসে। ভাবসেন সেইটা?
বাদলের বুক চিড়ে একটা দীর্ঘ নিশ্বাস বেরিয়ে আসে। সে সবই জানে, সবই বুঝে কিন্তু এখন এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, তার সহ্য করার ক্ষমতাই নষ্ট হয়ে গেছে। মোমেনাকে নিয়ে ভাবার মতো শক্তি তার নেই। সে জলিল সাহেবকে বলে-
‘স্যার, যদিও থানায় মামলা তুলছে ওরা, বিচার দিছে ওরা, কিন্তু সত্য কথা হচ্ছে আমিই আসলে ভুক্তভোগী। আল্লাহ পাক সবকিছুর সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেই সীমা লঙ্ঘন করলেই যত সব সমস্যা সৃষ্টি হয়। মোমেনা তার সীমা লঙ্ঘন করসে অনেক আগেই। আমিই ধৈর্য ধরে ছিলাম। কিন্তু এখন আমার ধৈর্যের সীমাও অতিক্রম করসে। আমরা পুরুষ মানুষ কী যে কষ্ট করে ঘরের খরচ চালাই সেটা সব মেয়েরা বুঝে না।
আর মোমেনা তো বুঝতেও চায় না। আমার কষ্টের টাকা সে যা ইচ্ছা তাই করে খরচ করে। তা করুক, তবু সে ভালো থাকুক। আমার বাচ্চাদের মানুষ করুক। আমি এইজন্যই সব সহ্য করতাম। কিন্তু এখন আমি যখন জীবনের হিসাব-নিকাশ করতে বসলাম, তখন দেখলাম মোমেনা নিজে সুখে থাকার চেষ্টা তো করেই না, আমাকেও অশান্তিতে রাখে। বাচ্চাদের মানুষের মতো মানুষ করার ব্যাপারে তার কোনো আগ্রহই নাই। আমার মেয়েটা বিপথে চলে গেছে, সেটাতে মোমেনার অবহেলা ছাড়া আমি আর কী বলব? আমি আমার সব দায়িত্ব পালন করে গেসি। কিন্তু মোমেনা স্ত্রী হিসেবে, মা হিসেবে তার একটা দায়িত্বও পালন করে নাই।’
এবার মফিজুর রহমান চুপ থাকতে পারলেন না, হম্বিতম্বি করে বললেন, ‘স্যার এই বাদইল্যা সব বানোয়াট কথা বলতেসে। আমার বোন সব দায়িত্ব পালন করসে। বরং এই বাদইল্যাই আমার বোনের অনুমতি না নিয়ে আরেকটা বিয়া করসে। আমার বোনকে অমানুষিক কষ্ট দিসে। নির্যাতন চালাইসে। এখন আবার তালাকের কথা বলতেসে!’
বাদল শান্ত সুরেই বলে, ‘আরেকটা বিয়ে করে আমি অন্যায় করসি ঠিক। কিন্তু মোমেনাকে জিজ্ঞেস করেন, আশেপাশের প্রতিবেশী থেকে জিজ্ঞেস করেন অই মেয়ের সাথে আমি এই দুই বছরে একটা রাতও ছিলাম কিনা। মেয়েটার বিপদের সময় আমি শুধু তার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করসিলাম, নিজের ভোগ-বিলাসের কথা না।’
জলিল সাহেব দেখলেন এদেরকে এভাবে কথার পিঠে কথা বলতে দিলে কথা বাড়বেই। একজন অপরজনকে দোষারোপ করে যাবেই। সমাধান কিছু হবে না। যা করার তাকেই করতে হবে। তিনি গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন, ‘যাই বলেন, এভাবে তালাক দেয়া যায় না। আমি দুইটা স্ট্যাম্প পেপার আনছি। আপনারা একে অপরের থেকে কী কী আশা করেন সেগুলা শর্ত আকারে এখানে লেখা হবে, নিচে আপনাদের সাইন থাকবে। এগুলা আবার ফটোকপি করা হবে। একজনের কাছে নিজের স্ট্যাম্প পেপারের মূল কপি আর অন্যজনের স্ট্যাম্প পেপারের ফটোকপি থাকবে। মানে হচ্ছে, একজনের কাছে নিজের কাগজও থাকবে, অন্যজনেরটাও থাকবে। আপনারা প্রতিদিন এই শর্তগুলা পড়বেন ও মেনে চলার চেষ্টা করবেন। যে মানবে না তার বিরুদ্ধে অন্যজন যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারবেন। বুঝা গেসে?’
উভয় পক্ষ মাথা নেড়ে সায় দিয়েছে। মোমেনা ও তার ভাই দারুণ খুশি। তাহের নূরীও তার পান খাওয়া লালচে কালো দাঁতগুলো দেখিয়ে দিয়েছে কয়েকবার। জলিল সাহেবকে বেশ কয়েকবার বলেও ফেলেছে অমুক ক্ষমতাধর ব্যক্তি তার সম্বন্ধী, তমুক এমপি তার শ্যালকের বন্ধুর চাচা আরও কত কী…!
বাদল বেশি কিছু লিখল না। সে লিখেছে-
- মোমেনার যা যা প্রয়োজন, ঠিক যতটুকু প্রয়োজন সেটুকুই সে দেবে, কিছু অপূরণ রাখবে না, অভাবে রাখবে না। কিন্তু সে মোমেনাকে যেখানে রাখতে চায় তাকে সেখানেই থাকতে হবে।
- যেহেতু তার দুই স্ত্রী, দুজনকেই সে সমানাধিকার দেবে। মোমেনার কাছে এক রাত থাকলে কোহিনূরের কাছেও সে একরাত থাকবে। এতে মোমেনা কোনো আপত্তি করতে পারবে না। যেহেতু, ইসলামী শরিয়তেও আছে একের অধিক স্ত্রী হলে তাদের সমানাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
- মোমেনা বাদলকে না জানিয়ে কখনো কোথাও যেতে পারবে না। যাওয়ার আগে অবশ্যই তাকে জানাতে হবে।
মাত্র এই তিনটি শর্ত, অথচ এগুলো দেখে মোমেনার মুখ কালো হয়ে গেছে। যেই লোক এই সতেরো বছরে কখনো কিছু বলেনি, শর্তারোপ করেনি সে তিনটা শর্ত দিলেও মোমেনার এখন ত্রিশটার মতো মনে হচ্ছে। অথচ তার অগণিত শর্ত সেগুলো দেখে বাদলের বিন্দুমাত্র ভাবান্তর হয়নি। বাদলের মনে কী চলছে কে জানে! মোমেনা ফিসফিস করে ভাইকে বলল, ‘ভাইজান, শর্তগুলা না মানলে হয় না?’
মফিজুর রহমান কিছু বলার আগেই তাহের নূরী বললেন, ‘শুকরিয়া করেন, মাত্র তিনটা শর্ত দিসে, তাও কঠিন না। আপনি যতগুলা দিসেন সেগুলা মানতে গিয়ে বাদলের জান যাইবগা দেইখেন।’
মোমেনা ফিসফিসিয়ে বলে, ‘আমি তো বুঝতিসি না, আপনি আমাদের পক্ষে নাকি উনার পক্ষে।’
মফিজুর রহমান ধমকে উঠলেন, ‘চুপ কর তুই।’
উভয় স্ট্যাম্প পেপারে সই করা হলো। তারপর বাদল তার প্রথম অস্ত্রটি প্রয়োগ করল, ‘আমার বাবার বিশাল বাড়ি। সেখানে আমাদের তিন ভাইয়ের আলাদা আলাদা অংশ আছে। আমি কাজের জন্য বাইরে বাইরে থাকি। মোমেনা যাতে ভালো থাকে, শান্তিতে থাকে, সেজন্য আমি তার বাপের বাড়ির সামনে নতুন করে জায়গা কিনে পাকা বাড়ি করে দিসি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, মোমেনার সেখানে থাকার কোনো দরকার নাই। আমার মা-বাবা কেউই বেঁচে নাই এখন। আমার ভাইয়ের বউরা যার যার অংশে আলাদা আলাদা থাকে। তাই মোমেনাকে আমার বাপের বাড়িতে নিয়ে যেতে চাই। সেটা এমনি এমনিই পড়ে থাকবে কেন? আর মোমেনার জন্য যেই বাড়িটা করসি সেটা বিক্রি করে দেবো।’
সাথে সাথে ফুঁসে উঠলেন মফিজুর রহমান, ‘এই মিঞা কী বলতেস এইসব? মাথা ঠিক আছে তুমার? বিক্রি করলে তোমার বাপের বাড়ির অংশ বিক্রি করো, মোমেনার বাড়ি বিক্রি করবা ক্যান?’
প্রতিউত্তরে বাদল ভদ্র ও শান্তভাবেই বলে, ‘আমার কোন বাড়ি, কোন সম্পত্তি বিক্রি করব, কেন করব, কখন করব, কারে করব সেইটা আপনি বলতে পারেন না ভাইজান। আর ওইটা মোমেনার বাড়ি না। মোমেনা থাকার জন্য করসিলাম, ওর নামে লিখে দিই নাই। আর আমার প্রথম শর্তই ছিল এটা, মোমেনাকে আমি যেখানে রাখব, যেভাবে রাখব, তাকে থাকতে হবে। এখন আপনার বোন কি এই শর্ত অমান্য করতে চায়? তাইলে বলেন, আমি ডিভোর্স পেপার রেডি করি একটা।’
মফিজ, মোমেনা কারও মনেই বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না বাদল এমন কিছু করতে পারে। এখন মেনে নেওয়া ছাড়া উপায়ও নেই। মফিজ বোনকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো করে বলে, ‘তোর শ্বশুরবাড়িটাও তো বিশাল বাড়ি। অইখানে থাকতে তোর কষ্ট হইব না। তুই চিন্তা করিস না। আর তোর অধিকারগুলা তো তুই ঠিকঠাক আদায় করেই নিবি।’
মোমেনা বিড়বিড় করে বলে, ‘বিশাল বাড়ি হইলেও তো অইটা আমার একার বাড়ি না।’
মফিজের কান পর্যন্ত যায় না কথাটা। বাদল মনে মনে হাসে, মোমেনার শর্তগুলো সে অনায়াসেই মানতে পারবে। কিন্তু মোমেনার কষ্ট হয়ে যাবে বাদলের শর্ত মতো চলা। কারণ, খোলা আকাশে উড়ে বেড়ানো যার স্বভাব, তাকে খাঁচায় বন্দি করলে সে খাঁচা ভেঙে পালানোর পাঁয়তারা করে। মোমেনা দুই চারদিনও নিয়মের মধ্যে চলতে পারবে না। তখন সে এমন কিছু করে বসবে যেটাতে শর্ত অমান্য করা হয়। তখন বাদল সহজেই তাকে তালাক দিতে পারবে। আর এরপর কোনো পিছুটান ছাড়াই বাদল কোহিনূরকে নিয়ে সংসার করতে পারবে। তাদের সাথে থাকবে রিংকি, পিংকি, রবি। লিজা হয়তো মানবে না। কিন্তু বাদল সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তাকে মানানোর।
থানা থেকে সবাই বের হয়ে আসে। বাদল মোমেনাকে নিজের বাবার বাড়িতে নিয়ে আসে। এখানে আসলে বাদলের মন খাঁ খাঁ করে। কত বিশাল বাড়ি, মা-বাবা, ভাই-বোন সবাই ছিল। মোমেনাকে বিয়ে করে এই ঘরেই তুলেছিল। এরপর সে আলাদা হয়ে যায়। মা-বাবা কষ্ট পেলেও মুখে কিছু বলেনি। ছেলে সুখে থাকলেই হলো। মা তো সবসময় মোমেনার পক্ষেই কথা বলত। তবু মোমেনা কখনো শাশুড়িকে নিজের মায়ের মতো ভাবতে পারেনি। শাশুড়ির কাছে কয়েকটা দিন থাকতে পারেনি। মায়ের খুব শখ ছিল, নাতি-নাতনি নিয়ে থাকবেন। সেই শখ পূরণ হয়নি তার। আজকে বাবা-মা কেউই বেঁচে নেই। বাদল যেভাবে মোমেনাকে নিয়ে এসেছে আজ, সেভাবে যদি কয়েক বছর আগে আনতো, মায়ের শখটা পূরণ হতো।
মোমেনাকে ঘরে এনে বাদল বলে, ‘তোমার জিনিসপত্র সব আমি আইনা দেবো। তুমি ঘর থেইকা বাইর হবা না। আর আইজ বৃহস্পতিবার। শনিবার ভোরে চাকরিতে চলে যাব। তোমার জন্য এমনিতেই এক সপ্তাহ ছুটি নিতে হইসে। শনিবার অবইশ্যই যাইতে হইব আমার। এখন তুমি বলো, আমি আইজ রাতে তোমার এখানে থাকব, নাকি কাইল রাতে থাকব?
মোমেনা কিছু বুঝতে না পেরে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। বাদল তাকে মনে করিয়ে দেয়, ‘শর্ত মোতাবেক তোমার কাছে একরাইত থাকলে আরেক রাইত কোহিনূরের কাছে থাকতে হইব।’
মোমেমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায় কথাটা শুনে। দাঁতে দাঁত ঘষে বলে, ‘আপনার যেমন ইচ্ছা করেন।’
বাদল মুচকি হাসে, তারপর বলে, ‘আইজ রাতে এইখানে থাইকা তোমারে সব গুছাইয়া দিই। কাইল কোহিনূরের সাথে থাকব।’
মোমেনা মুখ ফিরিয়ে বাদলকে মনে মনে কুৎসিত একটা গালি দেয়।
(চলবে)
[কীওয়ার্ডস:
অবিচার [ তেরো পর্ব ] | সালসাবিলা নকি
অবিচার [ তেরো পর্ব ] : সালসাবিলা নকি
অবিচার [ তেরো পর্ব ] – সালসাবিলা নকি
ছোটোগল্প | অবিচার [ তেরো পর্ব ]
সালসাবিলা নকির ছোটোগল্প | অবিচার [ তেরো পর্ব ]
ছোটোগল্প , সমকালীন গল্প , জীবনধর্মী গল্প, নন-ফিকশন , গল্পীয়ান]