অবিচার [ এগারো পর্ব ] | সালসাবিলা নকি

অবিচার [এগারো পর্ব]

প্রথম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:

দ্বিতীয় পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:

তৃতীয় পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:

চতুর্থ পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:

পঞ্চম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:

ষষ্ঠ পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:

সপ্তম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:

অষ্টম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:

নবম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:

দশম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:

আছিয়া খাতুন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন অনেক্ষণ। এমন না যে, প্রতিদিনই যখন তখন তিনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখেন। মাসে দু-তিনবার মাত্র আয়না দেখা হয় তার, তাও পরিষ্কার করার ছলে। আয়নায় ধুলোর আস্তরণে যখন অন্যরা নিজেদের মুখ ঝাপসা দেখে তখন আছিয়া খাতুনের কাছে ফরমায়েশ যায়, ‘আয়নাটা ময়লা হইসে, পরিষ্কার করতে পারো না?’

শৈলী সারাক্ষণ বইয়ে ডুবে থাকে। ডানে-বাঁয়ে, ওপরে-নিচে চোখ দেয় না কখনো। এটা অবশ্য আছিয়া খাতুনের প্রশ্রয়েই হয়েছে। তিনি সব সময় অ্যালার্ম ঘড়ির মতো বাজতে থাকেন, ‘আমি পড়ালেখা করতে পারি নাই, তোরে করতে হইব। উচ্চশিক্ষিত হইতে হইব। নিজের পায়ে নিজেরে দাঁড়াইতে হইব। আমার মতো পোড়াকপাল য্যান না হয় তোর।’

এজন্যই শৈলী ঘরের কোনো কাজ করে না। পরীক্ষার সময় নিজের হাতে ধরে ভাতটাও খায় না সে। বই নিয়ে পড়তে থাকে, মা মুখে খাবার তুলে দেন যত্ন করে। আছিয়া খাতুনকেই তাই ঘরঝাড়ু থেকে শুরু করে ছোটোবড়ো সব কাজ একাই করতে হয়। আর আয়নাটাও যখন ঝাপসা হয়ে যায় তখন ঘষেমেজে চকচকে করতে হয় তাকেই।

পরিষ্কার ঝকঝকে আয়নাতে নিজের মুখ দেখে প্রতিবারই কিছুক্ষণের জন্য ভাবনায় হারিয়ে যান আছিয়া খাতুন। কত-কী ভাবতে থাকেন নিজের মুখের দিকে চেয়ে…

ডানাকাটা পরি বলে না? আছিয়া খাতুন ঠিক তেমনই সুন্দর। আর এখন পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে এসেও, সংসারের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়েও তার সৌন্দর্য কিছুমাত্র কমেনি। শরীরে হালকা মেদ এসেছে। এতে তার সৌন্দর্য যেন পূর্ণতা পেয়েছে। কিন্তু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের এই অসামান্য রূপকে নিজেই ব্যঙ্গ করেন তিনি।

‘এতো রূপ দিয়া কী হইব? যদি কপালে সুখই না থাকে?’
তারই চাচাতো বোন রাবেয়া, গায়ের রং বর্ষাকালের মেঘের মতো কালো। অথচ কী সুখেই না আছে। তার স্বামী তাকে চোখে হারায়। অবস্থা ভালো, দামি শাড়ি আর গয়না দিয়ে রাজরানি করে রেখেছে রাবেয়াকে। শাড়ি-গয়নার চেয়ে বেশি চোখে পড়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই দুজনের প্রতি আন্তরিকতাটা। বাচ্চা-কাচ্চা তাদেরও বড় হয়েছে, কিন্তু চলনে-বলনে মিনে হয় নববিবাহিত দম্পতি।

মফিজ যে এত বড়ো শয়তান লোক তার প্রতি আছিয়া খাতুনের আন্তরিকতা না, ঘৃণা জাগে শুধু। বিয়ের পরপর প্রথম মেরে যখন তার ফর্সা মুখে কালশিটে দাগ ফেলেছিল, তখন আশেপাশের বউ-ঝিরা বলত, ‘আহারে, এত সুন্দর বউরে ক্যামনে মারে!’
অথচ মফিজ মনে করেন বউকে মারা তার অধিকার, বিয়ে করার মাধ্যমেই এই অধিকার পেয়েছেন তিনি।

অথচ এখন, নিজের বোনকে বিয়ের এত বছর পর তার স্বামী একটা চড় দিয়েছে শুধু, তাতেই মফিজ থানা-পুলিশ একাকার করে ফেলেছেন। আছিয়া খাতুনের বুকের ভেতর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। সাথে সাথে আয়নাটা ঝাপসা হয়ে যায়। হাতের ছেঁড়া কাপড়ের টুকরোটা দিয়ে আবারও তিনি সজোরে আয়নার কাচ ঘষতে থাকেন। আর ভাবেন, এভাবে যদি জীবনের সব দুঃখ-কষ্ট মুছে ফেলে জীবনটাকে ঝকঝকে করে ফেলা যেত!

আয়নাটা মুছে তিনি আবার নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঘরে বাড়তি দুজন মানুষ এসেছে, তার ননদ ও ননদের মেয়ে। রান্না-বান্না করতে হয় বেশি বেশি। একা হাতে তাকেই করতে হয় সব। কেউ তাকে একটু তরকারিটা কুটে দিলে, অথবা ঘরটা গুছিয়ে রাখলে কত উপকার হতো। কিন্তু কেউই কিছু করে না। মা-মেয়ে সারাদিন মোবাইল ফোনে নাহয় নিজেদের মধ্যে কথা বলায় ব্যস্ত। আবার ভাত দিতে দেরি হলে, একেকদিন একেক রকম নাশতা না হলে ওদের অভিযোগের শেষ থাকে না। ভয়ে, দুশ্চিন্তায় সারাক্ষণ তটস্থ হয়ে থাকতে হয় তাকে।

সময় যেন ঘোড়ার মতো দৌড়াচ্ছে। আছিয়া খাতুন না চাইতেও শৈলীকে ডাকেন, ‘শৈল… বারোটা বাজি গ্যাছে। এট্টু পরেই জোহরের আজান দেবে। আমি চুলায় ভাত বসাই। তুই এট্টু তরকারিটা কুটে দে তো।’
শৈলীর পড়া ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করে না, তবু উঠে রান্নাঘরের দিকে যায়। কারণ সে জানে মায়ের এখন খুব প্রয়োজন তাকে। নাহলে মা তো কখনো ডাকে না। সে রান্নাঘরের দিকে যেতেই লিজা বলে ওঠে, ‘চল ছাদে যাই।’
শৈলী অবাক হয়ে বলে, ‘এটা কি ছাদে যাওয়ার সময়? এই ভরদুপুরে কেউ ছাদে যায় নাকি? বিকেলে যাব।’
লিজা নাছোড়বান্দা। ঠিক তখনই মোমেনা এসে শৈলীর বাহু চেপে ধরে টান দেয়, আর চেঁচিয়ে বলে, ‘ও ভাবি, আমরা ছাদে গেলাম। শৈলরেও নিছি।’

ঘটনার আকস্মিকতায় শৈলী প্রথমে কিছুই বলতে পারল না। ততক্ষণে তাকে টেনে ছাদে নিয়ে আসা হয়েছে। রোদের কারণে ভালোভাবে চোখ মেলে তাকানো যাচ্ছে না। চোখের ওপর হাত রেখে বলে, ‘ফুফু, তোমরা থাকো। আমি যাই। আম্মু ডাকছিল, কাজ আছে অনেক।’
মোমেনা তখনো তার হাত চেপে ধরে রেখেছে, সেই হাতে আরও শক্ত করে চাপ দিয়ে বলে, ‘আরে রাখ তোর মার কাজ। ভাবির অভ্যাস আছে। এখন না শহরে আসছে। বিয়ার পর বছর খানেক গ্রামে আছিল না? তখন আমরা এতগুলা ভাইবোন, জামাই, শ্বশুর-শাশুড়ি সবার রান্নাবান্না সে একলা করত না? শহরে আইসা গ্যাসের চুলা পাইসে, গ্রামে তো মাটির চুলায় রান্নাবান্না করত। পানির জন্য পুকুরে যাইত তখন, এখন তো ঘরের ভেতরেই লাইনের পানি আসে। তখন তো একলাই সবকিছু করত। তোর যাইতে হইব না। সে একলাই পারব সব।’

শৈলী কী বলবে ভেবে পায় না। লিজা ন্যাকা ন্যাকা করে বলে, ‘আসলে মামি চায় না শৈল আমার সাথে মিশুক। আমি বুঝতে পারি এইটা।’
একেতো ফুফাতো বোন, দুজন সমবয়সি আর তাদের দুঃখ অনেকটা একই, পরিবারে অশান্তি, এসব কারণে লিজার প্রতি একটা মায়া কাজ করে শৈলীর। কিন্তু এখনের কথায় তার খুব রাগ হলো। এমন তো নয় যে, ওরা ছাদে আসবে শুনে আম্মু কাজ করতে ডেকেছে। বরং আম্মু ডাকার পরই ওরা ওকে জোর করে ছাদে নিয়ে এসেছে। ইশ! আম্মু কী ভাবছে এখন কে জানে! আম্মুর নিশ্চয়ই খুব খারাপ লাগছে এখন!

ছাদের এক কোনার দিকে একটা বিশাল বাদাম গাছ আছে। একতলা বিল্ডিংটার পাশ ঘেঁষেই দাঁড়িয়ে আছে গাছটা। সূর্যটা ঠিক মাথার ওপর আসলে গাছের ছায়া ছাদের মাঝামাঝি পর্যন্ত আসে। সেই ছায়ায় গিয়ে বসলো ওরা তিনজন। লিজা আসার সময় পাটি আর বালিশ নিয়ে এসেছিল। সেটা বিছিয়ে এর ওপর আয়েশ করে বসেছে মা-মেয়ে। হালকা হালকা বাতাস এসে ছুঁয়ে যাচ্ছে ওদের। আবহাওয়া তেমন খারাপ নয়। বসে খানিকটা গল্প-গুজব করাই যায়। কিন্তু শৈলী ভেতরে ভেতরে উশখুশ করছে, আম্মু তাকে ভুল বুঝবে না তো?

মোমেনা ফুফু ও লিজা অনেক কথা-ই বলছে। বেশির ভাগই ফুফার বিরুদ্ধে। সে কতটা নির্দয়, নিষ্ঠুর সেটাই প্রকাশ করতে চায়ছে তারা। শৈলী মনে মনে ভাবে, আহা! এভাবে যদি সে আর তার মাও বাবার অত্যাচারের কথা কাউকে বোঝাতে পারত! শিহাব একদম চুপচাপ থাকে। বুক ফেটে গেলেও ঘরের কথা, মনের ব্যথা কারও কাছে প্রকাশ করে না। আছিয়া খাতুনও তেমনি। বলেন, ‘মাইনসেরে বলে কী হইব? কিছুই হইব না। উলটা দেখা যাইব তোর বাপের কানে আসছে। সে আরও বেশি জ্বালাইব তখন।’

মায়ের কথাটার যুক্তি আছে। কিন্তু শৈলী সবসময় নিজেকে ধরে রাখতে পারে না। তাই নানুবাড়ি গেলে নানুমনিকে কিছু কিছু বলে। তখন নানুমনি বিশাল বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, ‘ও বইন কী করবি বল, হাজার হোক তোর বাপ।’ এমন কথা শোনার পর আর কিছু বলার ইচ্ছে হয় না।

এখন ফুফু আর ফুফাতো বোনের কথাগুলো শুনে শৈলীর রাগ চড়ে যাচ্ছে। সে অন্যায় সইতে পারে না, কিন্তু না সয়েও উপায় নেই। তবে সবকিছুর মতো ধৈর্যেরও একটা সীমারেখা আছে। হঠাৎ হঠাৎ শৈলী সেই সীমারেখা লঙ্ঘন করে ফেলে। আজও সেরকমই হলো। শৈলী ফুফুকে জিজ্ঞেস করল, ‘ফুফু মনে আছে, গতবছর একবার আসার সময় তুমি আমাদের বাসায় আট লিটার একটা তেলের বোতল আনছিলা?’

মোমেনা হঠাৎ এমন প্রশ্নে অবাক হয়ে যায়। সজোরে মাথা নেড়ে বলে, ‘মনে আছে তো। ক্যান?’
শৈলী শীতল কণ্ঠে বলে, ‘তুমি বলছিলা, ফুফা দিসে। কথাটা কি ঠিক?’
মোমেনা বেগম সাথে সাথেই বলে, ‘হ হ, ঠিকই তো। মাঝে মাঝে উনি সরকারি রেশন পায়। চাল, ডাল, তেল আরও টুকটাক জিনিস। আমাদের তো প্রতি মাসেই কেনা হয়। তো এগুলা বাড়তি জিনিস ঘরে না রাইখা আত্মীয়স্বজনরে দিয়া ফেলি। কী হইসে? আজকে আবার এইসব কথা ক্যান তুলতিছিস?’

‘কারণ সেই মাসে আব্বু বাসার খরচ এক হাজার টাকা কম দিসে। তুমি আট লিটার তেল আনছ বলে আব্বু তেলের টাকা বাঁচাইছে। কিন্তু আট লিটার তেল প্রায় পুরোটা তুমি নিজেই শেষ করছিলা। পনেরো বিশদিন ছিলে সেইবার। প্রতিদিন তেলের নানা রকম নাশতা বানাইতা। তাতে তেল খরচ বাদেও ময়দা, ডিম কতকিছু লাগতো।’
মোমেনা বিরক্ত হয়ে বলে, ‘কী বলতেছিস কথার মাথামুণ্ডু আমি কিছুই বুঝতেছি না।’

শৈলী বলে, ‘বলতে চাচ্ছি তোমার দেওয়া আট লিটার তেলের জন্য সে মাসে আমরা টাকাপয়সা নিয়ে টানাটানিতে পড়সিলাম। কারণ আব্বু আমাদের মাসিক খরচের টাকা কমায় দিসিল। কিন্তু ঘরের খরচ সেইমাসে আরও বেশি হইছিল তোমার কারণেই। আর এইদিকে ফুফা তোমাকে এত বেশি বেশি জিনিস দিয়েও কোনোদিন হিসাব চায় নাই। এইবার যখন হিসাব চাইল তখন তুমি ঝগড়া শুরু করছিলা।’
মোমেনা বেগম এবার একটু রেগে গিয়ে বলে, ‘বেশি বকিস না শৈল। তুই জানোস না কিছু।’

শৈলীকে যেন কথার ভুতে পেয়েছে। সে বলে যেতে লাগল, ‘আমিই সবই জানি। আব্বুর সাথে যা যা কথা বলো সবই আমার রুম থেকে শোনা যায়।’

তারপর লিজার দিকে ফিরে বলল, ‘ফুফা তোকে লেখাপড়ার খরচ দেয়, দামি জামা-কাপড়, ভালো ভালো খাওয়া-দাওয়ার কথা নাহয় বাদ দিই, তোকে শহরের সবচেয়ে ভালো কোচিং এ পড়াইছিল ভালো রেজাল্ট করার জন্য। জানিস, আমার আব্বু আমাদের লেখাপড়ার খরচ দেয় না। ভাইয়ার টিউশনির টাকা দিয়ে সে নিজে পড়ে, আমার খরচও সেখান থেকে হয়। নানুবাড়ি থেকে টাকা পয়সা দেয় মাঝে মাঝে সেগুলো দিয়ে চলি। আব্বুর যে টাকা নাই তা না, আব্বু আমাদেরকে না দিয়ে ওই টাকা ব্যাংকে জমা করে। আর ফুফা নিজের কষ্টের সব টাকা তোদের পেছনে খরচ করে। তবু তার মেয়ে যদি প্রেম করে আর সেটা তাকে নিজের চোখে দেখতে হয়, একবার ভাবতো বাবা হিসেবে তার কেমন লাগবে? তোকে এই কারণে একটা লাথি দিয়েছে। আর আমার আব্বু আমাকে সেই ছোটোবেলা থেকে মেরে মেরে আসছে। কেন জানিস? গ্লাসে পানি ঢালার সময় একটু করে পানি পড়ে গেসিল সেজন্য, মশার কয়েল খোলার সময় ভেঙে ফেলসি সেজন্য, রাত আটটায় ভাত খেতে চাইসি সেজন্য। এত মাইর খাইসি তোকে আর কয়টা বলব? যেমন তেমন মাইর না সেগুলা, একটা চড় দিলেই আমি ছিটকে দেয়ালে বাড়ি খেতাম, নাহয় ফ্লোরে পড়ে যেতাম। তোর মতো কাণ্ড করলে তো আব্বু আমাকে রাস্তাতে ততক্ষণ পিটাইত যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আর তোরা তোদের এই সামান্য দুঃখ-কষ্টকে পাহাড় বানিয়ে আমাদের এখানে আসছিস বিচার চাইতে! তার কাছে যে তার নিজের পরিবারের সাথে সবসময় অবিচার করে!’

একনাগাড়ে কথাগুলো বলে হাঁপাচ্ছে শৈলী। কপালে ঘাম জমেছে, চোখে পানি টলটল করছে। অনেক কিছু বলে ফেলেছে সে। এখন ওঠা উচিত। সে উঠে পড়েছে, নিচে চলে যাচ্ছে, হঠাৎ আবার পেছন ফিরে বলে, ‘লিজা, মেয়েরা বাবার কাছে রাজকন্যা হয়। আর মেয়েদের কাছে তার বাবা হয় নায়ক। আমি জানি ফুফা তোকে অনেক ভালোবাসে। তুই ভালো পথে এসে বাবাকে খুশি করার চেষ্টা কর। তুই চাইলেই তোর বাসায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারবি। আমি সেটা পারব না, কারণ আমার বাবা নায়ক না, আজরাইল।’

কথাগুলো বলে গটগট করে শৈলী নিচে নেমে গেল। অনেক্ষণ চুপচাপ বসে থাকার পর মোমেনা নীরবতা ভাঙে, ‘মাইয়াডার বিষদাঁত গজাইসে। ভাইঙ্গা দিতে হইব।’
লিজা জানতে চায়, ‘ক্যামনে? কী করবা আম্মু?’
মোমেনা রহস্যময় হাসি ফুটিয়ে বলে, ‘সময় হলে দেখবি। চল এবার নিচে যাই। খিদা লাগসে।’

(চলবে)


[কীওয়ার্ডস:

অবিচার [ এগারো পর্ব ] | সালসাবিলা নকি

অবিচার [ এগারো পর্ব ] : সালসাবিলা নকি

অবিচার [ এগারো পর্ব ] – সালসাবিলা নকি

ছোটোগল্প | অবিচার [ এগারো পর্ব ]

সালসাবিলা নকির ছোটোগল্প | অবিচার [ এগারো পর্ব ]

ছোটোগল্প , সমকালীন গল্প , জীবনধর্মী গল্প, নন-ফিকশন , গল্পীয়ান]

লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন:

মন্তব্য করুন: