দ্বিতীয় পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
তৃতীয় পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
চতুর্থ পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
পঞ্চম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
ষষ্ঠ পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
সপ্তম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
অষ্টম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
নবম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
দশম পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
এগারো পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
বারো পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
তেরো পর্ব পড়তে ক্লিক দিন:
সাতদিন পর…
ভোরের আলো ফুটতেই শৈলী ছাদে গেল, সকালের স্নিগ্ধ আলো শরীরে মাখবে বলে। এ সময় মন-মেজাজ ঠান্ডা ও ফুরফুরে থাকে। আর এই সময়ই বোধহয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। শৈলী ভোরের আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছে সে কী করবে। আজকে তার একজনের সাথে দেখা করার কথা, বিশেষ একজন।
ফোন করে গান শোনাতো যে, সেই ব্যক্তিটি মেসেজ দেওয়া শুরু করেছিল। শুরুতে অনিয়মিতভাবে একটা দুটো মেসেজ দিত। পরে সেটা নিয়মে পরিণত হয়ে যায়। আর ধীরে ধীরে সেটা কখন শৈলীর অভ্যাসে রূপ নিয়েছে শৈলী বুঝতেও পারেনি।
একদিন রাতে হঠাৎ ছেলেটা মেসেজ দিয়েছিল, ‘শৈলী, একটু বাইরে আসবে? আকাশে আজ পূর্ণিমার চাঁদ। তাকে বলেছি তার চেয়েও সুন্দর একজন আছে। সে বিশ্বাসই করছে না। তুমি এখন বাইরে এলে বেহায়া চাঁদ লজ্জা পাবে নিশ্চিত।’
আরেকদিন লিখেছিল, ‘তোমায় দেখে চাঁদের হিংসে হয়, আর পৃথিবীতে ছড়ায় ম্রিয়মাণ জ্যোৎস্না।’
মেসেজগুলো পড়ে শৈলীর মুখ রাঙা পলাশের মতো হয়ে ওঠে। সে কখনো কোনো মেসেজের উত্তর দেয় না। কিন্তু রাত-বিরাতে হুটহাট বাইরে এসে চাঁদ দেখার মতো পাগলামি করে। সেই অজানা অচেনা মানুষটার নাম সোহেল। সোহেল বলেছে আজ সে শৈলীর সামনে আসবে।
বর্ষার কোনো এক দুপুরে শৈলী সাদা সালোয়ার কামিজ পরে কলেজ গেইটের সামনে দাঁড়িয়েছিল। মুখে প্রসাধনী নেই, চোখে কাজল নেই। একেবারে সাদামাটা, একেবারে সাধারণভাবে। তার ছাতাটা বাতাসে উলটে গিয়েছিল। সেই উলটানো ছাতা হাতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়েছিল সে। তখন একজন এসে তার ছাতাটা নিয়ে ঠিক করে দেয়। বিভ্রান্ত, ইতস্তত, অপ্রস্তুতভাব চোখে-মুখে রেখেই শৈলী তাকে ধন্যবাদ জানায়। ওইটুকুতেই ছেলেটা আটকে যায় শৈলীর নিষ্পাপ চোখের মায়ায়। কিন্তু ছেলেটার কথা শৈলীর মনে নেই। জীবনের হাজার সমস্যার মধ্যে রাস্তায় হঠাৎ দেখা কোনো ছেলের চেহারা মনে রাখাটা তার কাছে গুরুত্ব পায়নি।
এরপর প্রতিদিন শৈলীকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখত সোহেল। ফোন নাম্বার নেওয়া, তারপর গান শোনানো আর মেসেজ দেওয়া। আজকে সোহেল সামনে আসবে। যদি শৈলী অনুমতি দেয়। তাকে সেদিনের সেই সাদা সালোয়ার কামিজ পরে কলেজে আসতে বলেছে সোহেল। তাহলেই সে বুঝতে পারবে, শৈলীও চায় সোহেল সামনে আসুক।
শৈলী কী করবে সেটা বুঝতে পারছে না। ছাদে উঠেছে ঠান্ডা মাথায় একটু ভাবতে। কী করবে সে? এতদিন ধরে সে নিজে নীরব থেকেছে। যদি আজ সে সোহেলের কথা মতো সাদা সালোয়ার কামিজ পরে তাহলে তো তার পক্ষ থেকে একটা উত্তর দেওয়া হবে, তাও হ্যাঁ বোধক। এটা করা কি উচিত হবে?
শৈলীর পুরোপুরি ইচ্ছে করছে সোহেলের কথামতো তার সামনে দাঁড়াতে। সেদিন প্রেম-বিয়ে নিয়ে লিজার বলা কথাগুলো এখনো মাথায় ঘুরছে। সোহেলকে কি নিজের জীবনে পরম আপনজনের জায়গাটা দেওয়া উচিত হবে?
সকাল নয়টায় একটা ক্লাস আছে। ছাদে অনেকটা সময় পার করে ফেলেছে শৈলী। এখন তড়িঘড়ি করে তৈরি হতে গিয়ে আবিষ্কার করে সাদা সালোয়ার কামিজটা পাওয়া যাচ্ছে না। খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে গেল সে। তখন আছিয়া খাতুন এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কীরে, শৈল, এমন উথাল-পাতাল কইরা কী খুঁজতেছিস?’
উদ্বিগ্ন হয়ে সে বলে, ‘আম্মু আমার সাদা জামাটা দেখসো? পাচ্ছি না যে…!’
আছিয়া খাতুন মেয়ের ওপর বিরক্ত হন। এত ভুলোমনা হলে কীভাবে হবে!
‘লিজা সেইদিন নিয়ে গেল না অইটা? কলেজের কী একটা অনুষ্ঠানে পরবে বলে?’
কথাটা শুনে ধপ করে মেঝেতে বসে পড়ে শৈলী। দেখে মনে হচ্ছে এখনই কেঁদে ফেলবে। নিজেই তো দিয়েছিল জামাটা। এখন এমন দুনিয়াদারি হারিয়ে ফেলার মতো করছে কেন? আছিয়া খাতুন মেয়ের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণের কোনো মানে খুঁজে পান না।
শৈলী বুঝতে পারে না কী করবে। অন্য কোনো রঙের কাপড় পরে গেলে সোহেল যদি ভুল কিছু বুঝে নেয়? ঘড়ির দিকে তাকায় সে। নাহ! আজকে আর কলেজেই যাবে না। সাদা জামার ব্যবস্থা করে, সাদা জামা পরে যেদিন যেতে পারবে সেদিনই যাবে।
ঠিক দুপুর বারোটার দিকে ঝড়ের বেগে মোমেনা ঢুকে বাসায়। শৈলীকে দেখেই জিজ্ঞেস করে, ‘ভাইজান আছে, নাকি বাইর হই গ্যাছে গা?’
শৈলীর এমনিতেই মন খারাপ। তার ওপর মোমেনা ফুফুর এমন হঠাৎ আগমন। এক সপ্তাহ আগেই এখান থেকে গিয়েছিল। সপ্তাহ না ঘুরতেই আবার হাজির! শৈলী রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না, বলে বসে, ‘ফুফু আসার আগে একটা ফোন করতে পারতা না? আব্বু তো অইদিনও তোমাকে এই কথা বলছিল।’
মোমেনা বিষদৃষ্টিতে তাকায় ওর দিকে। মনে মনে বলে, ‘মাইয়ার বেশি বাড় বাড়ছে। একটা ব্যবস্থা তো করতেই হবে। আগে নিজের ব্যবস্থাপাতি ঠিক করি। তারপর তোরে দেখে নেবো।’ মুখে কিছু না বলে ভাইয়ের রুমের দিকে যায় সে।
শৈলী কথাটা বলেছে, কারণ ফুফু যদি ফোন করে আগে থেকে জানাতো তাহলে সে বলতে পারতো, লিজার কাছ থেকে সাদা জামাটা যেন নিয়ে আসে। এখন কবে সে সাদা জামাটা পাবে কে জানে! সোহেল একটা মেসেজ দিয়েছে একটু আগে, ‘আসলে না!’ মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে চোখে পানি চলে আসে শৈলীর।
পাশের রুমে ইতিমধ্যে ঝড় শুরু হয়ে গেছে। মফিজ চিল্লাচিল্লি করছে বোনের সাথে, ‘তর কি মাথা খারাপ হই গ্যাসে? ক্যান আসছস বাদলের অনুমতি ছাড়া? এইটা তো শর্ত ছিল। তুই ক্যামনে ভাইঙা ফেললি?’
মোমেনাও চুপ নেই। কেঁদেকেঁদে তার দুঃখের ফিরিস্তি দিচ্ছে, ‘আমার কষ্টের কথা একটু ভাবেন ভাইজান। আগে আমার কত্তবড় ঘর ছিল। মায়ের কাছে ছিলাম। কত্ত সুবিধা ছিল। এখন অই অমানুষের গুষ্ঠির সাথে থাকতে হইতেছে। বাবর আর বশিরের বউ খালি কথায় কথায় ঠ্যাশ মারে। আগে আমার ঘর ভর্তি জিনিস ছিল। এখন দুই চাইরডা ডেক্সি দিসে শুধু। আগে চালের বস্তা আসতো ঘরে। এখন মাত্র ২০ কেজি চাইল দিসে। সব কম কম কইরা দিসে। আগে কত্ত ভালো আছিলাম আমি।’
মফিজ ধমক দিয়ে বলে, ‘আগে যে ভালো আছিলি, কুনোদিন স্বীকার গেছিলি? শুধুই তো নালিশ দিতি আমার কাছে। আর এখন বলতছস আগেই ভালো ছিলি। আগেই যদি ভালো ছিলি তাইলে একটা থাপ্পড় খাই আমার কাছে আসছিলি ক্যান?’
মোমেনা শুধু ফোঁপাতে থাকে। মফিজ একটু শান্ত হয়। তারপর জিজ্ঞেস করে, ‘তুই এইখানে আইসাই ভুল করছস। তোর সমস্যাগুলা ফোন করে আমারে বলতি। আমি পুলিশ অফিসার জলিল সাবরে ফোনে বলতাম। উনি একটা ব্যবস্থা নিতেন। তুই আসলি ক্যান? এখন তো বাদল যেকোনো কিছু করতে পারে।’
মোমেনা বলে, ‘ওতো চাকরিতে চলে গ্যাছে ভোরবেলা। তারপর আমি বাইর হইসি। ও জানতে পারব না, আমি এইখানে আসছি। জানেন না ভাইজান কী দুঃখে দিন কাটে আমার। আগে তো অই ফইন্নির বেটির সাথে থাকত না। এখন গত সপ্তায়ও ছিল, এই সপ্তায়ও থাকছে। আমি মানতে পারতিসি না এইডা।’
‘তোর এইসব আগেই ভাবা উচিত ছিল। এখন তুই চা-পানি খাইয়া তাড়াতাড়ি বাড়িত যাগা। আমি দেখি কী করা যায়।’
মোমেনা এবার আবদারের সুরে বলে, ‘ভাইজান, আসছি যখন আজকের দিনটা থাকি। এত জার্নি করার শক্তি নাই। কাল সক্কাল সক্কাল যাব গা।’
মফিজের কেন যেন ভালো লাগে না। কিন্তু বোন বলে কথা, তাই মেনে নেয়। আর মোমেনা ভাবে, আজকের মধ্যেই ভাইজানের মনে শৈলীর ওপর রাগ হয় এমন কিছু করতে হবে। নিজে যখন সুখে নেই, এদেরকেও সুখে থাকতে দেবে না।
রাতে ভাইয়ের সাথে কথা বলতে চেয়েছিল মোমেনা। কিন্তু মফিজ রাতে ফেরেনি। কোনো এক বন্ধুর বাসায় ছিল।
পরদিন যাব, যাচ্ছি করেও সকালে বের হয় না মোমেনা। শৈলীর তো কোনো ব্যবস্থাই করা হয়নি। এদিকে মফিজ ফোন করে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার তাগাদা দেয়। একটু বেলা হতেই মোমেনা বলে রোদ উঠে গেছে। দুপুরের পর করে বের হবে। দুপুরের পর কাপড়-চোপড় গুছিয়ে নিচ্ছে। ঠিক সেই সময় মোমেনার মোবাইলে লিজার ফোন এলো। রিসিভ করেই মোমেনা ওদিক থেকে লিজার উৎকণ্ঠিত কণ্ঠ শুনতে পায়, ‘আম্মু, তোমার নামে একটা খাম আসছে।’
মোমেনা কৌতূহলী হয়ে বলে, ‘কীসের খাম খুলে দ্যাখ না।’
‘খুলে ফেলসি আম্মু। এইটা, এইটা…’
মোমেনা অধৈর্য হয়ে বলে, ‘কীরে বল না, এইটা কী…?’
‘এইটাতে একটা কাগজ আছে, লেখা আছে তালাকনামা। একটা কাগজের ফটোকপিও আছে। আর তালাকনামাতে বলা হয়ছে, তুমি নাকি শর্ত অমান্য করছো, তাই আব্বু তোমারে তালাক দিসে। নিচে আব্বুর সাইনও আছে।’
লিজার কথা শেষ হতেই মোমেনা দুই-তিন সেকেন্ড সময় নেয়। তারপরেই গগনবিদারী চিৎকার দেয়, ‘ও আল্লাহ রে, আমার এত বড়ো সর্বনাশ ক্যামনে হইল। আল্লাহ রে…!’
মোমেনার আর বাড়িতে যাওয়া হয় না। তালাকনামার কাগজটা নিয়ে লিজা আসে মামার বাসায়। সবাই দুশ্চিন্তায় অস্থির। কিন্তু শৈলীর মনটা ফুরফুরে। লিজা আসার সময় সাদা জামাটা নিয়ে এসেছে। শৈলী এই প্রথম সোহেলকে মেসেজ দেয়, ‘আজকে বাসায় গেস্ট এসেছে। তাই কলেজে যেতে পারিনি। কাল যাব।’
ওপাশ থেকে ফিরতি মেসেজ আসে, ‘জানানোর জন্য থ্যাংকস। আমি টেনশনে ছিলাম, কেন আসলে না তুমি। তবে কাল দেখা হচ্ছে না। আমার খুব জরুরি কাজ আছে একটা। পরশু দেখা হবে।’
মেসেজটা পেয়ে শৈলীর মন আনন্দে নেচে ওঠে। একটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবু ভালো। অপেক্ষার ফল মিষ্টি হয়। সোহেলের সাথে তার প্রথম সাক্ষাৎ নিশ্চয় সুখকর হবে। এটা ভেবে আপনমনেই হাসে শৈলী। এত ঝামেলার মাঝেও আছিয়া খাতুন মেয়ের অন্যরকম আচরণ লক্ষ্য করেন।
একপাশে টেনে প্রায় ফিসফিস করে বলেন, ‘দেখিস অন্যদের দেখাদেখি নিজে ভুল কিছু করিস না। সব ধরনের সব কিছুর ভার বইতে পারার ক্ষমতা আমাদের নাই।’
শৈলী চমকে ওঠে। মায়ের সতর্কবাণী উপেক্ষা করে সে উলটো শঙ্কিত হয়, মা কি কিছু বুঝতে পেরেছে?
রাতে তাহের নূরীকে নিয়ে জরুরি বৈঠক বসায় মফিজ। অনেক আলাপ-আলোচনা, শলাপরামর্শ করে এই সিদ্ধান্ত নেয় যে, বাদলকে বলে কয়ে আরেকটা সুযোগ দিতে বলবে। তবু যেন তালাক না হয়। মোমেনার এই সিদ্ধান্ত ভালো লাগে না, সে বলে, ‘আপনারা এইভাবে নরম হয়ে কথা বলবেন? শক্ত করে একটা ধমক দেন, দেখবেন সোজা হইয়া যাবে।’
তাহের নূরী নিজের দাড়িতে হাত বুলিয়ে বলেন, ‘মাইয়া মানুষ যত চুপ থাকে ততই মঙ্গল। আর মাইয়া মাইনসের বুদ্ধি নিয়া চললে হয় অমঙ্গল।’
মফিজেরও ইচ্ছে হয় বাদলকে টাইট দিতে। কিন্তু কোন ভরসায় দেবে? তাই আপাতত তাহের নূরীর কথাটাই মানতে হচ্ছে। মফিজ বাদলকে ফোন করে। বাদল প্রথমে রিসিভ করে না। দ্বিতীয় বার ফোন করলে মফিজ নরম গলায় বলে, ‘বাদল, কেমন আছো ভাই?’
ওপাশ থেকে মুচকি হাসে বাদল। হিটলার ভাইজানের কণ্ঠে এত কোমলতা! এজন্যই বোধহয় বলে, শক্তের ভক্ত নরমের যম। এত বছর বাদল নরম ছিল বলে, ভাই-বোন তার উপর যমের মতো চেপে বসে ছিল। মোমেনা তার রক্ত চুষে খেয়েছে। আর এখন সবাই নরম! বাহ! বাদল কড়া কণ্ঠেই বলে, ‘কী বলবেন বলেন।’
মফিজ ত্যালত্যালে সুরে বলে, ‘আগে তো ভাইজান বলে কথা শুরু করতা। এখন তো সব ভুইলা গেছো মনে হয়।’
‘যেহেতু আমরা মুসলিম, একই এলাকায় বাড়ি সেই হিসাবে আপনারে ভাইজান বলতে আমার আপত্তি নাই। কিন্তু মোমেনার ভাই হিসেবে ভাইজান ডাকব এটা আশা কইরেন না। কারণ, মোমেনার সাথে আমার আর কুনো সম্পর্ক নাই।’
‘এইটা কী বললা বাদল? সবাই-ই একটা দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়ার অধিকার রাখে।’
‘আপনার বোন সারা জীবন এত এত সুযোগ পাইসে যে, এখন আর দ্বিতীয় সুযোগ বলে কিছু বাকি রাখে নাই। আমাকে আর এইসব বিষয় নিয়ে কিছু বলবেন না। আমি খুব ব্যস্ত থাকি এইখানে, আপনাদের মতো এত সময় আমার নাই।’
বলেই ফোনটা রেখে দিলো। মফিজের পাংশু মুখ দেখে মোমেনা আর তাহের নূরী বুঝতে পেরেছে, বাদলকে রাজি করানো সম্ভব হয়নি। মোমেনা কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলে, ‘এখন কী হইব?’
তাহের নূরী বলে, ‘একটাই উপায় আছে আর। ওই যে পুলিশ অফিসার আছে না? তারে গিয়া ধরতে হইব। টাকা পয়সাও কিছু খরচ হইতে পারে।’
মফিজ বলে, যা পারে খরচ করবে, তবু বোনের সংসারটা টিকিয়ে রাখতে হবে!
(চলবে)
[কীওয়ার্ডস:
অবিচার [ চৌদ্দ পর্ব ] | সালসাবিলা নকি
অবিচার [ চৌদ্দ পর্ব ] : সালসাবিলা নকি
অবিচার [ চৌদ্দ পর্ব ] – সালসাবিলা নকি
ছোটোগল্প | অবিচার [ চৌদ্দ পর্ব ]
সালসাবিলা নকির ছোটোগল্প | অবিচার [ চৌদ্দ পর্ব ]
ছোটোগল্প , সমকালীন গল্প , জীবনধর্মী গল্প, নন-ফিকশন , গল্পীয়ান]